সাধারন কিছু কথা

আমরা এমন কিছু মানুষ নিয়ে কাজ করি, যারা বয়সের ভারে নুব্জ, নিজের কাজ নিজে করার ক্ষমতা হারিয়েছেন। অথচ এঁরাই এককালে সমাজের কর্মী ছিলেন, সমাজকে অনেক কিছু দিয়েছেন। এঁরা আমাদের পরিবারেরই সদস্য। সমাজের দ্রুত বদলের জন্য এই সব মানুষকে ঘরে রেখে ছোট ছোট পরিবারের পক্ষে পরিষেবা দেওয়া সমস্যা হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদেরকে কমিউনিটি লিভিং-এ পাঠানোর বিশেষ প্রয়োজন হয়ে পড়ে। এঁরা কেউই ফেলনা নন। তাই পরিবারের পক্ষে সমস্যা হয়ে দাঁড়ায় তাঁদের নিকটাত্মীয়কে কোন ভাল আবাসনে পাঠান। পরিসংখ্যান অনুসারে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে তখনকার প্রত্যেক প্রবীণকে কমুনিটি লিভিং-এর দ্বারস্থ হতেই হবে। এ সমস্যা ইউরোপে অনেকদিন ধরেই চলছে এবং এর মোকাবিলা করে সরকার। আমাদের দেশে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে সরকারের বিশেষ কোন গঠনমূলক ভাবনাচিন্তা গড়ে ওঠে নি। তাই বিক্ষিপ্তভাবে ব্যক্তি বিশেষ বা সংস্থাগতভাবে আবাসনগুলি গড়ে উঠছে।
আমরা নতুন একটি আবাসনও শুরু করেছি, যা সুস্থ এবং একটু স্বচ্ছল প্রবীণদের জন্য - নাম তার নৃপবীথি সিনিয়ার লিভিং অ্যাকোমডেশন।এখানে সিঙ্গল রুম নিয়েও থাকা যায়। স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারেন। অসুস্থ মানুষও থাকতে পারেন, তবে খরচটা একটু বেশী হবে।
আপনার পরিবারের কোন আত্মীয়ের জন্য যখন আবাসন খুঁজবেন তখন কয়েকটা কথা মাথায় রাখবেন। যেমন আবাসনটি কোন ব্যক্তির ব্যবসা, না সঙ্গঠন দ্বারা পরিচালিত। তাঁরা যে টাকা নিচ্ছেন তাতে কি কি পরিষেবা পাচ্ছেন, খাওয়া দাওয়ার মান কেমন, জামা কাপড় কাচা, ঘরদোর পরিস্কার করার খরচ আলাদা কিনা। এর পরে আর কি কি খরচ আছে। মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওষুধ, আয়া আর ফিজিওথেরাপির খরচ বাড়ে। পয়সা না হয় খরচ করলেন, ডাক্তার দেখানোর দায়িত্ব কার, হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব কার। বেশী অসুস্থ হয়ে গেলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে কিনা। বছর বছর কি হারে খরচ বাড়বে। আগামী পাঁচ বছর বাদে সম্ভাব্য খরচ কত দাঁড়াবে। আনন্দ দানের জন্য কি কি ব্যবস্থা আছে। আপনি হয়ত দেখলেন আবাসনটির খরচ কম, কিন্তু কিছুদিন বাদে হিসাব করে দেখলেন আয়া, কাচাকুচি ইত্যাদি যোগ করে একটা অসম্ভব রকম খরচ হচ্ছে, যা আপনার আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। লুকানো খরচ বা পরিষেবার সঠিক মান জানতে হলে, যাঁরা ওই আবাসনে থাকেন, তাঁদের ভরনীয় ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার চেয়ে নিন ও কথা বলুন।
আমরা যেসব পরিষেবা দিচ্ছি তা হলঃ শেয়ারিং থাকা/ সিংগল রুমে থাকা, ব্যক্তি বিশেষ নির্দিষ্ট সুষম আহার (ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ অনুসারে), ২৪ ঘন্টা আয়া, ২৪ ঘন্টা গরম জল, রুটিন হেলথ চেক আপ, ফিজিওথেরাপি/ ম্যাসেজ/ ব্যায়াম, দৈনন্দিন কাচাকুচি, ঘরদোর-বাথরুম পরিস্কার, চুল-দাড়ি কাটা, জন্মদিন পালন, টিভি, আনন্দানুষ্ঠান ইত্যাদি। আলাদাভাবে যে খরচ আপনাকে করতে হবে তা হলঃ বাইরে থেকে ডাক্তার আনা হলে, হাসপাতালের খরচ, বিশেষ ফিজিওথেরাপি, ওষুধপত্র, ডায়াপার-এয়ারবেড (যদি লাগে), দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিষ যেমন জামা কাপড়, তেল, সাবান, পেস্ট ইত্যাদি। এগুলো আপনি কিনে দিয়ে গেলেই ভাল, না হলে আমরা কিনে নিলে (কেনার আগে আপনার অনুমতি নেওয়া হবে) বিলের পরিবর্তে টাকা নেব। আমরা মাঝে মাঝে গাড়ি করে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাই, তার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। কিছু দিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে আমরাই পৌঁছে দিয়ে আসব, নিয়ে আসব। বাইরের ডাক্তার দেখানো, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, হাসপাতাল পরবর্তী সেবা এমনকি মারা গেলে সৎকার, শ্রাদ্ধ-শান্তি আমাদেরই দায়িত্ব। বাড়ির লোককে আসতে পর্যন্ত হবে না। হোয়াটস্যাপে ছবি সহ নিয়মিত সব খবর পাবেন। আমাদের এরমকম বহু সদস্য আছেন, যাদের অভিভাবক বিদেশে বা বাইরে থাকেন। তাদের সাথে হোয়াটস্যাপে, মেলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি।
আমরা অসুস্থ, একদম শয্যাশায়ী প্রবীণ/ প্রবীণা, মানসিক প্রতিবন্ধী, ডিমেন্সিয়া ব্যক্তিদের পরিষেবা দিয়ে থাকি।
আমাদের আবাসনে শারিরীকভাবে আসার আগে ই-মেলের মাধ্যমে আবাসন, ঘর ইত্যাদির ছবি দেখুন। ফোন করে বা ই মেলে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। আমাদের কাছে এখানে আছেন এরকম সদস্যদের পরিবারের ফোন নম্বর নিন, কথা বলুন। তার পর সব কিছু ঠিকঠাক চললে নিজের চোখে দেখে যান। সময়্ নিয়ে আসুন, দুপুরে আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করুন, আবাসিকদের সাথে কথা বলুন। তারও পর ভালো লাগলে আমরা আপনার বাড়ি যাব, যাঁকে রাখবেন তাঁকে দেখতে। উদ্দেশ্য তিনটিঃ যিনি সদস্য হবেন তার শারিরীক ও মানসিক অবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা (সঠিক পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে), সম্ভাব্য সদস্যের সাথে আগেভাগে পরিচিত হয়ে গেলে আসার পর কোন মানসিক সমস্যা তৈরী হয় না ও আপনার বাসস্থান দেখে রাখা। এই বাড়ি যাওয়ার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। এর পর আপনি সম্ভাব্য সদস্যকে কমপক্ষে সাত দিনের জন্য দৈনন্দিন খরচের ভিত্তিতে রেখে যাবেন। আমরাও নিয়ে আসতে পারি। যদি দেখেন সব কিছু ঠিকঠাক চলছে তখন নির্দিস্ট ছাপানো ফর্মে সদস্য হওয়ার দরখাস্ত করবেন। পছন্দ না হলে যে কয় দিন থাকলেন তার খরচ দিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারেন বা আমরাই পৌঁছে দিয়ে আসতে পারি – কোন রকম প্রশ্ন করা হবে না। মনে রাখবেন, আপনি আপনার পরিবারের একজন প্রিয়জনকে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, সুতরাং সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করে নিন। কোন রকম ধোয়াঁশা রাখবেন না। ভর্তির আগে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব আপনারই। আমরা কোন যোগাযোগ করব না, কিন্তু আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে বা সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকব। আপনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে পরবর্তী যোগাযোগকারী ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করব।
আমাদের এখানে দু ভাবে থাকা যায়। এক, ডিপোজিট দিয়ে সদস্য হয়ে; দুই, বিনা ডিপোজিটে গেস্ট হয়ে। দুটির মধ্যে প্রধান ফারাক হলঃ গেস্টদের রুটিন চেক আপ ছাড়া চিকিৎসার কোন দায়িত্ব আমাদের নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, বাড়িতে অসুস্থ প্রবীণ থাকার জন্য বাড়ির সবাই একসাথে কিছুদিনের জন্য কোথাও যেতে পারেন না। এরকম ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য বাড়ির প্রবীণকে আমাদের এখানে রেখে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে দৈনন্দিন ভিত্তিতে খরচ দিতে হয়, ডিপোজিটের কোন প্রশ্ন নেই। এছাড়া কোন প্রবীণ নিজের চিকিৎসা/অপারেশনের কারণে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য থাকতে পারেন। আপনার মনোমত জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের।
আপনার প্রিয়জন আমাদের পরিবারের সদস্য হওয়া মাত্র আপনিও আমাদের পরিবারের একজন হলেন। তখন শুধুমাত্র একজন প্রবীণ আপনার আত্মীয় নন, অনেক প্রবীণের সন্তান হয়ে উঠলেন। আপনাকে শারিরীকভাবে কারোর জন্য কিছু করতে হবে না, তার জন্য আমরাই আছি; আপনি আমাদের সাথে মানসিক ভাবে থাকুন। আসুন সবাই মিলে একটি বৃহৎ পরিবারের সদস্য হয়ে উঠি।
আমরা নির্ভুল নই, ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আপনি যখন প্রিয়জনকে দেখতে আসবেন তখন ফিড ব্যাক ফর্ম পুরণ করে যাবেন। তাহলে আমরা আমাদের পরিষেবার মান আরো ভালো করে তুলতে পারব। এছাড়া সব সাধারন সভায় আপনি আমন্ত্রিত হবেন। আপনার কোন বক্তব্য থাকলে অবশ্যই পেশ করবেন।
আমরা যা করছি, তা উদাহরন করে তুলতে চাইছি। কোন প্রবীনই বাতিল নন। এঁরা আছেন বলেই আমরা আছি। আমরা এঁদের উত্তরসূরী। এই লেখা যিনি এখন পড়ছেন, তিনি যদি প্রবীণ না হয়ে থাকেন, তাহলে সময়ের নিয়মে একদিন প্রবীণ হবেন। তাই আপনাকে সতর্ক করছিঃ নিজের কথা ভেবেই এখন যে সব পিতৃ-মাতৃ স্থানীয় প্রবীণ আছেন তাদের সুখ নিয়ে একটু ভাবুন। বন্দেমাতরম।
আমরা নতুন একটি আবাসনও শুরু করেছি, যা সুস্থ এবং একটু স্বচ্ছল প্রবীণদের জন্য - নাম তার নৃপবীথি সিনিয়ার লিভিং অ্যাকোমডেশন।এখানে সিঙ্গল রুম নিয়েও থাকা যায়। স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকতে পারেন। অসুস্থ মানুষও থাকতে পারেন, তবে খরচটা একটু বেশী হবে।
আপনার পরিবারের কোন আত্মীয়ের জন্য যখন আবাসন খুঁজবেন তখন কয়েকটা কথা মাথায় রাখবেন। যেমন আবাসনটি কোন ব্যক্তির ব্যবসা, না সঙ্গঠন দ্বারা পরিচালিত। তাঁরা যে টাকা নিচ্ছেন তাতে কি কি পরিষেবা পাচ্ছেন, খাওয়া দাওয়ার মান কেমন, জামা কাপড় কাচা, ঘরদোর পরিস্কার করার খরচ আলাদা কিনা। এর পরে আর কি কি খরচ আছে। মনে রাখবেন, বয়স বাড়ার সাথে সাথে ওষুধ, আয়া আর ফিজিওথেরাপির খরচ বাড়ে। পয়সা না হয় খরচ করলেন, ডাক্তার দেখানোর দায়িত্ব কার, হাসপাতালে চিকিৎসা করানোর দায়িত্ব কার। বেশী অসুস্থ হয়ে গেলে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে কিনা। বছর বছর কি হারে খরচ বাড়বে। আগামী পাঁচ বছর বাদে সম্ভাব্য খরচ কত দাঁড়াবে। আনন্দ দানের জন্য কি কি ব্যবস্থা আছে। আপনি হয়ত দেখলেন আবাসনটির খরচ কম, কিন্তু কিছুদিন বাদে হিসাব করে দেখলেন আয়া, কাচাকুচি ইত্যাদি যোগ করে একটা অসম্ভব রকম খরচ হচ্ছে, যা আপনার আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। লুকানো খরচ বা পরিষেবার সঠিক মান জানতে হলে, যাঁরা ওই আবাসনে থাকেন, তাঁদের ভরনীয় ব্যক্তিদের ফোন নাম্বার চেয়ে নিন ও কথা বলুন।
আমরা যেসব পরিষেবা দিচ্ছি তা হলঃ শেয়ারিং থাকা/ সিংগল রুমে থাকা, ব্যক্তি বিশেষ নির্দিষ্ট সুষম আহার (ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ অনুসারে), ২৪ ঘন্টা আয়া, ২৪ ঘন্টা গরম জল, রুটিন হেলথ চেক আপ, ফিজিওথেরাপি/ ম্যাসেজ/ ব্যায়াম, দৈনন্দিন কাচাকুচি, ঘরদোর-বাথরুম পরিস্কার, চুল-দাড়ি কাটা, জন্মদিন পালন, টিভি, আনন্দানুষ্ঠান ইত্যাদি। আলাদাভাবে যে খরচ আপনাকে করতে হবে তা হলঃ বাইরে থেকে ডাক্তার আনা হলে, হাসপাতালের খরচ, বিশেষ ফিজিওথেরাপি, ওষুধপত্র, ডায়াপার-এয়ারবেড (যদি লাগে), দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিষ যেমন জামা কাপড়, তেল, সাবান, পেস্ট ইত্যাদি। এগুলো আপনি কিনে দিয়ে গেলেই ভাল, না হলে আমরা কিনে নিলে (কেনার আগে আপনার অনুমতি নেওয়া হবে) বিলের পরিবর্তে টাকা নেব। আমরা মাঝে মাঝে গাড়ি করে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাই, তার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। কিছু দিনের জন্য বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে আমরাই পৌঁছে দিয়ে আসব, নিয়ে আসব। বাইরের ডাক্তার দেখানো, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, হাসপাতাল পরবর্তী সেবা এমনকি মারা গেলে সৎকার, শ্রাদ্ধ-শান্তি আমাদেরই দায়িত্ব। বাড়ির লোককে আসতে পর্যন্ত হবে না। হোয়াটস্যাপে ছবি সহ নিয়মিত সব খবর পাবেন। আমাদের এরমকম বহু সদস্য আছেন, যাদের অভিভাবক বিদেশে বা বাইরে থাকেন। তাদের সাথে হোয়াটস্যাপে, মেলে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি।
আমরা অসুস্থ, একদম শয্যাশায়ী প্রবীণ/ প্রবীণা, মানসিক প্রতিবন্ধী, ডিমেন্সিয়া ব্যক্তিদের পরিষেবা দিয়ে থাকি।
আমাদের আবাসনে শারিরীকভাবে আসার আগে ই-মেলের মাধ্যমে আবাসন, ঘর ইত্যাদির ছবি দেখুন। ফোন করে বা ই মেলে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর জেনে নিন। আমাদের কাছে এখানে আছেন এরকম সদস্যদের পরিবারের ফোন নম্বর নিন, কথা বলুন। তার পর সব কিছু ঠিকঠাক চললে নিজের চোখে দেখে যান। সময়্ নিয়ে আসুন, দুপুরে আমাদের সাথে খাওয়া দাওয়া করুন, আবাসিকদের সাথে কথা বলুন। তারও পর ভালো লাগলে আমরা আপনার বাড়ি যাব, যাঁকে রাখবেন তাঁকে দেখতে। উদ্দেশ্য তিনটিঃ যিনি সদস্য হবেন তার শারিরীক ও মানসিক অবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা (সঠিক পরিষেবা দেওয়ার স্বার্থে), সম্ভাব্য সদস্যের সাথে আগেভাগে পরিচিত হয়ে গেলে আসার পর কোন মানসিক সমস্যা তৈরী হয় না ও আপনার বাসস্থান দেখে রাখা। এই বাড়ি যাওয়ার খরচ আপনাকে বহন করতে হবে। এর পর আপনি সম্ভাব্য সদস্যকে কমপক্ষে সাত দিনের জন্য দৈনন্দিন খরচের ভিত্তিতে রেখে যাবেন। আমরাও নিয়ে আসতে পারি। যদি দেখেন সব কিছু ঠিকঠাক চলছে তখন নির্দিস্ট ছাপানো ফর্মে সদস্য হওয়ার দরখাস্ত করবেন। পছন্দ না হলে যে কয় দিন থাকলেন তার খরচ দিয়ে নিয়ে চলে যেতে পারেন বা আমরাই পৌঁছে দিয়ে আসতে পারি – কোন রকম প্রশ্ন করা হবে না। মনে রাখবেন, আপনি আপনার পরিবারের একজন প্রিয়জনকে আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন, সুতরাং সব কিছু ভালোভাবে যাচাই করে নিন। কোন রকম ধোয়াঁশা রাখবেন না। ভর্তির আগে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখার দায়িত্ব আপনারই। আমরা কোন যোগাযোগ করব না, কিন্তু আপনার যে কোন প্রশ্নের উত্তর দিতে বা সহযোগিতা করতে সর্বদা প্রস্তুত থাকব। আপনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করলে পরবর্তী যোগাযোগকারী ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক স্থাপন করব।
আমাদের এখানে দু ভাবে থাকা যায়। এক, ডিপোজিট দিয়ে সদস্য হয়ে; দুই, বিনা ডিপোজিটে গেস্ট হয়ে। দুটির মধ্যে প্রধান ফারাক হলঃ গেস্টদের রুটিন চেক আপ ছাড়া চিকিৎসার কোন দায়িত্ব আমাদের নয়।
অনেক সময় দেখা যায়, বাড়িতে অসুস্থ প্রবীণ থাকার জন্য বাড়ির সবাই একসাথে কিছুদিনের জন্য কোথাও যেতে পারেন না। এরকম ক্ষেত্রে স্বল্প সময়ের জন্য বাড়ির প্রবীণকে আমাদের এখানে রেখে যেতে পারেন। এক্ষেত্রে দৈনন্দিন ভিত্তিতে খরচ দিতে হয়, ডিপোজিটের কোন প্রশ্ন নেই। এছাড়া কোন প্রবীণ নিজের চিকিৎসা/অপারেশনের কারণে স্বল্পকালীন সময়ের জন্য থাকতে পারেন। আপনার মনোমত জায়গায় চিকিৎসা করিয়ে আনার দায়িত্ব আমাদের।
আপনার প্রিয়জন আমাদের পরিবারের সদস্য হওয়া মাত্র আপনিও আমাদের পরিবারের একজন হলেন। তখন শুধুমাত্র একজন প্রবীণ আপনার আত্মীয় নন, অনেক প্রবীণের সন্তান হয়ে উঠলেন। আপনাকে শারিরীকভাবে কারোর জন্য কিছু করতে হবে না, তার জন্য আমরাই আছি; আপনি আমাদের সাথে মানসিক ভাবে থাকুন। আসুন সবাই মিলে একটি বৃহৎ পরিবারের সদস্য হয়ে উঠি।
আমরা নির্ভুল নই, ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে। আপনি যখন প্রিয়জনকে দেখতে আসবেন তখন ফিড ব্যাক ফর্ম পুরণ করে যাবেন। তাহলে আমরা আমাদের পরিষেবার মান আরো ভালো করে তুলতে পারব। এছাড়া সব সাধারন সভায় আপনি আমন্ত্রিত হবেন। আপনার কোন বক্তব্য থাকলে অবশ্যই পেশ করবেন।
আমরা যা করছি, তা উদাহরন করে তুলতে চাইছি। কোন প্রবীনই বাতিল নন। এঁরা আছেন বলেই আমরা আছি। আমরা এঁদের উত্তরসূরী। এই লেখা যিনি এখন পড়ছেন, তিনি যদি প্রবীণ না হয়ে থাকেন, তাহলে সময়ের নিয়মে একদিন প্রবীণ হবেন। তাই আপনাকে সতর্ক করছিঃ নিজের কথা ভেবেই এখন যে সব পিতৃ-মাতৃ স্থানীয় প্রবীণ আছেন তাদের সুখ নিয়ে একটু ভাবুন। বন্দেমাতরম।
এই আবাসনটিতে প্রধানতঃ কর্মক্ষম প্রবীণ/প্রবীণা থাকার পক্ষে উপযুক্ত। খোলা হাওয়ায় জায়গায় হাঁটাচলা, ব্যয়াম করতে পারবেন। লিফট, মন্দির, জেনারেটর সেট সহ ১১০কাঠা (৫.৫ বিঘা) জমির ওপর এই আবাসন। সিঙ্গল, শেয়ারিং, স্বামী-স্ত্রী একসাথে থাকার ব্যবস্থা আছে। প্রত্যেক ঘরে (15' x 18') আলাদা কমোড সহ অ্যাটাচড বাথরুম (5' x 8'), বক্স খাট, দুটি ফ্যান, বসার চেয়ার টেবিল, সাইড টেবিল, আলমারী আছে। দোকান, বাজার, এটিএম এক কিমি-র মধ্যে। রেল স্টেশন 4 কিমি। ২৪ ঘন্টার জন্য সাহায্যকারিনী (শর্ত সাপেক্ষে), ২৪ ঘন্টা গরমজলের ব্যবস্থা আছে, আছে টিভিও। সুন্দর ব্যলকনি, যেখানে বসে বিকেলটা কেটে যাবে। কোথাও যেতে হলে নিজেদের গাড়ী আছে, ঘুরে আসুন।
|
যাঁরা বয়স বা অসুস্থতার কারণে শয্যাশায়ী বা চলাফেরায় মোটামুটি অক্ষম, ডিমেন্সিয়া, মানসিক প্রতিবন্ধী, শারিরীক প্রতিবন্ধী প্রবীণ/ প্রবীণাদের জন্য উপযুক্ত জায়গা।থাকার ব্যবস্থা শেয়ারিং।টয়লেট শেয়ারিং, কমোড সহ। প্রকৃতির মাঝে নিরিবিলি, শান্ত পরিবেশে, মন্দির সহ অনেকটা জায়গা নিয়ে একতলা বাড়িতে থাকার আদর্শ পরিবেশ।২৪ ঘন্টার জন্য আয়া, গরম জল, ব্যয়াম বা ম্যাসেজ, সম্ভব হলে একটু হাঁটানো বা হুইল চেয়ারে ঘোরানো -আরো কিছুদিন বাঁচানোর আশ্বাস। মানুষ মরনশীল, কিন্তু মরার আগে কিছুদিন যেন ভালো থাকেন -এটাই তো চান, তাই নয় কি?
|
কমপক্ষে সাতদিন থাকুন
আগে ডিপোজিট নয়। অন্ততঃ পক্ষে সাত দিন (রোগীদের জন্য একমাস) বিনা ডিপোজিটে দৈনিক খরচের বিনিময়ে থেকে দেখে নিন। যেসব আবাসিক আছেন তাঁদের সাথে বা তাঁদের পরিবারের সাথে কথা বলে নিন। তারপর আজীবন থাকার সিদ্ধান্ত নিন। একদম তাড়াহুড়ো নয়।
স্বল্পকালীন বসবাস
পরিবারের সদস্যরা একসাথে কিছুদিনের জন্য বাইরে গেলে বাড়ির অসুস্থ প্রবীণকে কিছুদিনের জন্য রেখে যেতে পারেন। চিকিৎসার জন্য আমাদের সাহায্য নিতে পারেন।কোন প্রবীণের অপারেশন বা চিকিৎসা দরকার হলে, একা একা থাকার কারণে নিজে না করতে পারলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করলে আমরা করিয়ে দেব এবং আমাদের আবাসনে কিছুদিন রেখে সুস্থ করে বাড়ী পাঠাবো। আপনি এমনি এমনি এসে কিছুদিনের জন্য একা বা সপরিবারে এসে বেড়িয়ে যেতে পারেন। এর জন্য কোন সদস্যপদ গ্রহণ করতে হয় না বা ডিপোজিট দিতে হয় না ।
ট্যুর
আমরা বছরে এক-দু বার প্রবীণদের নিয়ে বেড়াতে যাই। যে কোন প্রবীণ যোগদান করতে পারেন। হে ওয়েবসাইট পাঠক আপনি যদি প্রবীণ হন তাহলে একবার ঝোলা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ুন আমাদের সাথে। চলাফেরায় কষ্ট কিছুই নেই, আমরাই সামলাব।দরকার হলে হুইল চেয়ারে ঘোরাব। এছাড়াও আমরা দিনের বেড়ানো করে থাকি। আপনারা দল বেঁধে নিজেরা কোথাও যেতে চাইলে আমরা তার ব্যবস্থা করে থাকি। এর জন্য সদস্য হতে হয় না।
পিকনিক
শীতের রোদ পিঠে নিয়ে বছরে একবার শুধুমাত্র প্রবীণরা পিকিনিক করেন আমাদের উঠোনে। যে কোন প্রবীণ এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
প্রবুদ্ধ প্রবীণ/ প্রবীণাঃ সিনিয়ার সিটিজেন বিউটি কনটেস্ট

প্রত্যেক বছর আমরা সিনিয়ার সিটিজেন বিউটি কনটেস্টের আয়োজন করি কলকাতায়। ষাটোর্ধ পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে যোগদান করতে পারেন। আমরা প্রবীণদের মনের সৌন্দর্য বিচারেই আগ্রহী। বিচার্য বিষয়গুলি হল মোটামুটি এইরকমঃ শরীর ও স্বাস্থ্য, বাস্তববোধ, সমাজ ভাবনা, সাংসারিক জ্ঞান, অধ্যাত্ম ও মনন ইত্যাদি। বয়স অনুসারে দুটি বিভাগ করা হয়। ৬০-৭০ এবং ৭১ ও তদুর্ধে। পুরুষ ও মহিলা আলাদা বিভাগ হিসাবে বিবেচিত হন। পুরষ্কার প্রাপকরা ‘প্রবুদ্ধ প্রবীন’ বা ‘প্রবুদ্ধ প্রবীণা’ হিসাবে বিবেচিত হবেন।
প্রবীণ স্বয়ম্বর

মৃত্যুর ভয়কে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিন। আপনার জীবন আপনারই। অন্যকে কেন জবাবদিহি করতে যাবেন। এখনও আপনার অনেকটা স্বর্নালী জীবন পড়ে আছে। বয়স্কদের নিয়ে গবেষণাগুলোত চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েই দিচ্ছে যে দ্বৈত জীবন পালন করেন এমন প্রবীণদের ‘জীবন যাত্রার মান (Quality of Life)’, ‘সুখানুভূতি (Happiness)’ এবং ‘জীবন সন্তোষ (Satisfaction of Life)’ ইত্যাদি একাকী-প্রবীণদের তুলনায় বেশী। শেষ বয়সেই তো দোকা থাকার বড় প্রয়োজন – একজন আরেকজনের সাহারা হয়ে ওঠেন।আপনারা যারা একা আছেন তাঁরা নতুন করে ঘর বাঁধুন বিয়ে করে বা লিভ-ইন করে। নিদেন পক্ষে প্রেম করুন। বছরে একবার আমরা কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করি। যোগদানে ইচ্ছুক হলে আমাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
ইচ্ছাপূরণ
মৃত্যুপথযাত্রী প্রবীণের শেষ ইচ্ছা পূরণের প্রকল্প এটা - নাম থেকেই তার মালুম। কোন প্রবীণ ধরুন চাইছেন তাঁর কোথাও বেড়াতে যেতে, আমরা অ্যাম্বুলেন্সে করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়ে ঘুরিয়ে নিয়ে আসব।
ডে আউট
কয়েকজন বন্ধু বান্ধব বা পরিবারের সদস্যরা দলবল মিলে আমাদের এখানে ঘুরে যেতে পারেন। খাওয়া দাওয়া, আপ্যায়ন - সব ব্যবস্থা আমাদের। যেকোন বয়সের মানুষ আসতে পারেন। এর জন্য আমাদের সদস্য হতে হয় না। খরচ নির্ভর করে আপনাদের খাদ্য তালিকার উপরে - মাথা পিছু হিসাবে ধরা হয়।