দিনযাপনের কথা
এবারে আসুন, আলোচনা করে নেওয়া যাক কি কি ভাবে এখানকার আবাসিকদের দিন কাটে, কি কি খান তাঁরা ইত্যাদি ইত্যাদি।
সাধারনভাবে অসুস্থদের জন্য যা করা হয়ে থাকেঃ
সকালে ৬.৩০ থেকে ৭.০০টার মধ্যে চা সাথে বিস্কুট। তার আগে অবশ্য দাঁত মাজানো। তার পর ব্যয়াম করানো। এর পর বাইরে বসানো। ৮.৩০ থেকে ৯.০০টার মধ্যে জলখাবার। সাধারনতঃ রুটি, তরকারী, ফল বা মিস্টি ও স্যুপ দেওয়া হয়। তবে মুখ বদলের জন্য কখনও সখনও চাউ/ লুচি/ উপমা/ সুজির হালুয়া ইত্যাদি দেওয়া হয়। ১২.৩০ থেকে ১.০০টার মধ্যে দুপুরের খাবার, যাতে থাকে সেদ্ধ জাতীয় কিছু, শাক, নিরামিষ তরকারী, ডাল, মাছ/ ডিম/ মাংস ও চাটনী/দই। যাঁরা নিরামিশাষী তাদের জন্য আরেকটা পদ দেওয়া হয়। সপ্তাহে একদিন মাংস দেওয়া হয়। সেদিন নিরামিশাষীদের পনির খাওয়ানো হয়। সপ্তাহে একদিন সবার জন্য নিরামিষ। দুপুরে খাওয়ানোর পর সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়। বিকেল ৪.৩০মিনিটে সবার জন্য ফল। তার ঘন্টাখানেক বা দেড়েক বাদে চা, সাথে মুখরোচক কিছু। এই সময়টুকু তাঁরা টিভি দেখলেন কেউ, কেউ বা বই পড়লেন, কাউকে হয়তো হাঁটানো হল। ৮.০০-৮.৩০-এর মধ্যে রাতের খাবার। আমরা রুটি খাওয়াতেই পছন্দ করি, সাথে তরকারী এবং দুধ/ ছানা। ৯টার মধ্যে সবাইকে ঘুম পাড়িয়ে দেওয়া হয়।
যাঁদের খাওয়া দাওয়ায় কিছু ডাক্তারী নিষেধাজ্ঞা আছে যেমন ডায়াবেটিক, রেনাল ফেলিওর রোগী, তাঁদেরকে ডাক্তারী নিয়ম মেনেই খাবার পরিবেশন করা হয়।
আবাসিকের বাড়ির লোকজন যখন দেখা করতে আসবেন তাঁদেরকে বিশেষ অনুরোধঃ দয়া করে আপনি শুধু আপনার আত্মীয়ের জন্য কোনরকম খাবার আনবেন না, যদি আনতে হয় তাহলে সব আবাসিকদের জন্যই আনবেন। আপনি একটি পরিবারে আসছেন, সুতরাং সব সদস্যের কথা মাথায় রাখবেন। আপনার সামর্থ্যের মধ্যেই আনবেন, হোক না সেটা একটা করে লজেন্স।
মাঝে মাঝে আমরা নিকটবর্তী শিল্পীদের ডেকে সন্ধ্যাবেলায় একটু গান বাজনার আয়োজন করি। যাঁরা হাঁটাচলায় সক্ষম তাঁদেরকে নিয়ে গাড়ী চাপিয়ে একটু বেড়িয়ে নিয়ে আসাও হয়। সিনেমাও দেখতে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে বেড়ানোর এই খরচটা আলাদা বহন করতে হয়। এছাড়া বাৎসরিক পিকনিক, অনেকদূর বেড়াতে যাওয়া এসবতো আছেই।
আবাসিক সদস্যদের প্রত্যেকের জন্মদিন পালন আমাদের একটি অবশ্য কর্তব্য কাজ – এই সুন্দর কাজটি আবাসিকদের বেশ আনন্দ দেয় দেখেছি।