সাধারণ কিছু জ্ঞাতব্য তথ্য
- ৬০ বছরের উর্দ্ধে সুস্থ পুরুষ, ৪৫ বছরের উর্দ্ধে একাকিনী মহিলা, ডিভোর্সী, বিধবা গ্রহণযোগ্য। দম্পতির ক্ষেত্রে অন্ততঃ একজনের বয়স ৬০-এর উর্দ্ধে হতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে, যেমন মেন্টাল রিটার্ডেশন, শারিরীক প্রতিবন্ধী, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি বয়সের ছাড় বিবেচনা যোগ্য। ভর্তি হওয়ার আগে কোন রকম ফিটনেস সার্টিফিকেট দিতে হয় না। তবে পরে আমরা আপনার খরচে কিছু ডাক্তারী পরীক্ষা করাই আগামী দিনগুলিতে তাঁকে ভালো রাখার জন্য।
- সদস্য হওয়ার আগে কমপক্ষে সাত দিন দৈনিক খরচের ভিত্তিতে সম্ভাব্য আবাসিককে রেখে দেখে নিন, জায়গাটা উপযুক্ত হবে কি না।
- আপনি আপনার আত্মীয়কে যখন ইচ্ছা দেখতে আসতে পারেন। এটা আপনারই বাড়ী।
- যদি কিছু খাবার দাবার হাতে করে আনতে হয়, তাহলে শুধু আপনার আত্মীয়র জন্য আনবেন না। এখানে আরো অনেক প্রবীণ আত্মীয় আপনার রয়েছে। দামী কিছু আনতে হবে না। আপনার সাধ্যের মধ্যেই তা আনুন। নিজে হাতে বিলি করুন। সেটা একটা লজেন্সও হতে পারে। দেখুন ওঁরা কেমন আনন্দ পায়। আপনিও পাবেন, বলে রাখতে পারি।
- যখনই আসবেন সময় হাতে নিয়ে আসবেন।আপনার আত্মীয়র সাথে অনেকটা সময় কাটান। দরকার হলে এখানে খাওয়া দাওয়া করুন। দল বেঁধে আসুন।
- আমরা আমাদের সদস্যদের জন্মদিন পালন করি। সেইদিন আপনাদের পরিবারের সব্বাই উপস্থিত থাকুন। আপনার আত্মীয় নতুন জীবন পাবেন।
- আপনার আত্মীয়কে মাঝে মাঝে বাড়িতে নিয়ে যান। এর জন্য আপনাকে কষ্ট করতে হবে না। আমরাই সব করব। ঘুরিয়ে নিয়ে আসব। আমাদের নিজস্ব গাড়ী আছে।
- বড়সড় অসুস্থ হলে আমরাই আপনার অনুমতি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করব। দেখভাল আমরাই করব। তবে এই সুযোগ শুধু মাত্র আমাদের সদস্যরাই পাবেন। বিনা ডিপোজিটে যাঁরা থাকবেন (গেস্ট) তাঁরা এই সুযোগ পাবেন না। সে ক্ষেত্রে আমরা আপনাদের শুধু ফোন করে জানাব। হাসপাতালে ভর্তি বা দেখভালের দায়িত্ব আপনাদেরই।
- কোন একটি মাসে একটানা ১৫ দিন বা তার বেশী আবাসিক অনুপস্থিত থাকলে মাসের খরচ থেকে ১০০০ টাকা বাদ যাবে।
- আমরা আবাসিকদের মাঝে মাঝে বেড়াতে নিয়ে যাই। এর খরচ না-লাভ-না-লোকসানের ভিত্তিতে সমভাবে বন্টিত হয়।
- তেল, সাবান, ওষুধ ইত্যাদি দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিস মাসিক খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত নয়। এগুলো আপনারা কিনে দিয়ে যেতে পারেন। প্রয়োজনে আমরাও কিনে নিতে পারি। সেক্ষেত্রে ১০% সার্ভিস চার্জ দিতে হয়। এই টাকাটা যিনি কিনে এনে দেন তিনি পান। আপনি যদি কিনে দিতে অপারগ হন, তাহলে এই বাবদ কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে যেতে হবে।
- সংস্থার ডিপোজিট, মাসিক খরচ চেক বা অনলাইনে দিলেই ভালো হয়।
- আপনি যে টাকা ডিপোজিট হিসাবে দেবেন তার রসিদ পাবেন এবং আপনার সাথে নমিনির নাম উল্লেখ করে একটি এগ্রিমেন্ট তৈরী হবে কোর্ট পেপারে।